খেলাধুলা ডেস্ক: মোহামেদ সালাহ নৈপুণ্যে উড়ছে লিভারপুল। লিগ শিরোপা হাতছাড়া হলেও দলকে তিনি রেখেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার রেসে। এতো গেলো ক্লাবের হয়ে তার কৃতিত্ব। জাতীয় দলের জার্সিতেও সালাহ’র অবদান কম নয়। ২৮ বছর পর মিশরকে নিয়েছেন বিশ্বকাপে। তাই এই স্ট্রাইকারকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনাটাও চরমে।
একটি ম্যাচ লিভারপুলের। তাতে খেলতে নামলেন ১১ জন মোহামেদ সালাহ! চোখ কপালে উঠার মত ঘটনাই বটে! আদৌ কি সম্ভব? এর বাস্তবতা নিয়ে হয়তো কোন তর্ক হবে না। তবে এই মিশরীয় স্ট্রাইকারের অবয়ব নকল করে সবাই যদি মাঠে নামেন, তখন তো এর সত্যতা মানতেই হয়!
কি এমন করেছেন মোহামেদ সালাহ? অর্জনের ঝুলিতে এখন পর্যন্ত হয়তো যোগ হয়নি আহামরি কিছুই। তবে মেসি রোনালদোর এই যুগে নিজেকে যে আলাদা ভবে চেনাতে পেরেছেন সেটাই বা কম কিসের। তাই এমন উন্মাদনা তো তাকে নিয়েই মানায়।
২০১২তে ইউরোপে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা সালাহ চেলসি, রোমা ঘুরে লিভারপুলে। উত্থানের রুপকথাটা তার সেখানেই। আরো নির্দিষ্ট করে বললে চলতি মৌসুমে। ৩১ লিগ গোলে ইতোমধ্যেই বাগিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলারের ট্রফি। তার নৈপুণ্যেই ১০ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির মঞ্চে শক্তঅবস্থানে অল রেডরা।
তারা বলেন, সালাহ দুর্দান্ত রকমের পেশাদার একজন ফুটবলার। আর চলতি মৌসুমে ও যা করছে তা সত্যিই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখার মত। এভাবে যদি সে খেলতে থাকে তাহলে বোধ হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা আমরা জিতেই যাব।
শুধু ক্লাবের হয়েই নয়। দুর্দান্ত ফুটবল শৈলীতে নিজ দেশ মিশরকে ২৮ বছর পর উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপ টিকিট। মিশরীয়দের কাছে সুপার হিরো বনে যাওয়া মোহামেদ সালাহকে নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনাটা তাই ভিন্ন মাত্রার।
তারা বলেন, দেখুন ও আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। তার হাত ধরেই স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। সুতরাং আমরা যা করছি, তা ভালবেসেই করছি।
জুনে মিশরের হয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামবেন সালাহ। এখন তার সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যালেঞ্জ। স্বপ্ন সেরাদের কাতারে জায়গা করে নেয়া। তবে এ জন্য লিভারপুলকে যে, তার পার করিয়ে দিতে হবে শীর্ষ চার আর ফাইনালের বৈতরণী।